ধার দেওয়া টাকা ফেরত পাওয়া না গেলে তা উদ্ধার করা কখনো কখনো বেশ কঠিন হতে পারে। যদি ঋণগ্রহিতা সত্যিই অসমর্থ হন তবে সেক্ষেত্রে সময় দেওয়া বা ক্ষমা করে দেওয়া উত্তম। তবে যদি এমন হয় যে সামর্থ্য থাকার পরেও ইচ্ছাকৃতভাবে টাকা ফেরত দিচ্ছে না, তখন কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। এক্ষেত্রে কী করবেন-
আপনার টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য ঋণগ্রহিতার সঙ্গে কথা বলুন। শান্তভাবে তার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে বা ফোনে কথা বলুন। চাইলে মেসেজেও লিখতে পারেন। অনেক সময় ভুলে যাওয়ার কারণে টাকা বা ঋণের বস্তু ফেরত দেওয়া হয় না, তাই মনে করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
যদি ঋণগ্রহীতা আপনাকে পরিশোধের তারিখ না করে দেন, তাহলে আপনি তাকে টাকা বা জিনিস ফেরত দেওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট তারিখ দিতে পারেন। ভদ্রভাবে ঋণগ্রহীতাকে জানান যে কেন আপনার এটি নির্দিষ্ট তারিখে ফেরত প্রয়োজন। তার লক্ষ্য ঠিক থাকলে সে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ধারের টাকা বা বস্ত ফেরত দিতে পারবে।
যদি ঋণগ্রহিতা একবারে সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করতে না পারে তাহলে টাকাটা ভাগ ভাগ করে নিতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি দশ হাজার টাকা পান তবে তা একবারে না দিতে পারলে প্রতি মাসে দুই হাজার করে পাঁচ মাসে সমস্ত টাকাটা ফেরত দিতে পারেন। আপনি কিছুটা নমনীয় হলে হয়তো তা ঋণগ্রহিতার জন্য উপকারী হবে। তাই এভাবে বিবেচনা করতে পারেন।
পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন হলে এটি আইনি সুরক্ষা প্রদান করে। পদ্ধতির এই ধাপটি আনুষ্ঠানিক, যার অর্থ হলো বাধ্যবাধকতা গুরুতর এবং পরিশোধ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।