সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ধার নিয়ে ফেরত দিচ্ছে না? জেনে নিন কী করবেন শ্যামনগরে রামজীবনপুর যুব জামায়াতের সাধারণ কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত বাংলাদের জাতীয় সাংবাদিক ফোরাম পীরগঞ্জ থানা নবাগত অফিসার ইনচার্জন এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ কালিগঞ্জ প্রত্যয় আইডিয়াল স্কুলে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে আটুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র মিলন মেলা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগর যুব অধিকার পরিষদের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে ইউসিসিএ এর নির্বাচন সম্পন্নঃ শেখ লুৎফর রহমান সভাপতি নির্বাচিত। দেবহাটায় রস সংগ্রহে খেজুর গাছ প্রস্তুত করতে ব্যস্ত গাছিরা গাবুরায় বাল্যবিবাহ ও পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধে পিতামাতাদের সাথে সংলাপ শ্যামনগরে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে নব যোগদানকৃত নিবার্হী অফিসার রনী খাতুনের মতবিনিময়
নোটিশ :
Wellcome to our website...

শেরপুরে ৯ কোটি সরকারি টাকা হরিলুটের অভিযোগে বন কর্মকর্তার নামে মামলা

সংবাদদাতার নাম : ৮৮ Time View
Update : শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০২৪, ৩:২৫ পূর্বাহ্ন

মোঃ বিল্লাল হোসেন, শেরপুর থেকেঃ

 

শেরপুরে ৯ কোটি সরকারি টাকা হরিলুটের অভিযোগে রবিউল ইসলাম নামে এক বন কর্মকর্তার নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

১৩ জুন বৃহস্পতিবার জেলার শ্রীবরদী থানায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়। বন বিভাগের পক্ষ থেকে শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুরি ফরেষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ সুমন মিয়া বাদি হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। অভিযুক্ত বন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বালিজুরি ফরেষ্ট রেঞ্জ অফিসের সাবেক রেঞ্জ কর্মকর্তা ছিলেন।

তিনি ২০১৬ সাল থেকে বালিজুরি রেঞ্জের একাধিক বিটের বিট কর্মকর্তা ও রেঞ্জ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বন কর্মকর্তা রবিউল ইসলামের বাড়ি জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ এলাকায়। জানা গেছে, সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী মির্জা আজমের এলাকার লোক হিসাবে দাপটে একই কর্মস্থলে তিনি ৮ বছর চাকুরি করেন।

এলাকাবাসী জানান এখানে যোগদানের পরপরই তিনি নানা অনিয়ন ও দুর্নীতির সাথে জরিয়ে পরেন। মন্ত্রী এলাকার লোক হিসাবে তিনি কাউকেই তোয়াক্কা করেননি ।

তার দাপটে এলাকাবাসীও মুখ খুলতে সাহস পায়নি। এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে এলাকাবাসীর কাছ থেকে।

এলাকাবাসী জানান তিনি সুফল বাগান সৃজনে অনিয়ম দুর্নীতির পাশাপাশি বিভিন্ন খাতে তিনি দুর্নীতি করেছেন। বর্তমান ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ ন ম আব্দুল ওয়াদুদ কর্মস্থলে যোগাযোগের পর ঘটনা আছ করতে পেরে বন কর্মকর্তা রবিউল ইসলামে বদলি করে বালিজুরি রেঞ্জ কর্মকর্তা হিসেবে সুমন মিয়া বদলী করেন। কিন্তু রবিউল ইসলাম সুমন মিয়াকে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিয়ে তার বদলির নির্দেশ স্থগিত করানোর জন্য তদবিরে মেতে উঠেন।

জানা গেছে, বিভাগীয় বন কর্মকর্তার স্বদিচ্ছার কারনে তা আর সম্ভব হয়নি। অবশেষে গত ২৫ ফ্রেব্রুয়ারী রবিউল ইসলাম সুমন মিয়াকে দ্বায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। সুমন মিয়া দ্বায়িত্ব বুঝিয়ে নেয়ার পর রবিউল ইসলামের ৯ কোটি টাকার ঘাবলার ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়।

পরে এ বিষয়ে বিভাগীয়ভাবে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির তদন্তে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে বন বিভাগ বন কর্মকর্তা রবিউল ইসলামকে সরকারি হরিলুটের ৯ কোটি টাকা ফেরত দেয়ার জন্য বলা হয়।

কিন্ত রবিউল ইসলাম টাকা জমা না দিয়ে গা ঢাকা দেয়। এ বিষয়ে বন বিভাগের পক্ষ থেকে শ্রীবরদী থানায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়। শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কাইয়ুম খান সিদ্দিকী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


More News Of This Category