মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দেবহাটায় ৮ টি পরিবারের ৫০ বছরের রাস্তা বন্ধের চক্রান্তকারীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন দেবহাটায় স্থানীয় উদ্যোক্তা, প্রাইভেট সেক্টর ও সরকারি বিভাগের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত ১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবিতে দেবহাটায় স্মারকলিপি প্রদান রমজাননগরে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও জলবায়ু ন্যায্যতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত ধার নিয়ে ফেরত দিচ্ছে না? জেনে নিন কী করবেন শ্যামনগরে রামজীবনপুর যুব জামায়াতের সাধারণ কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত বাংলাদের জাতীয় সাংবাদিক ফোরাম পীরগঞ্জ থানা নবাগত অফিসার ইনচার্জন এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ কালিগঞ্জ প্রত্যয় আইডিয়াল স্কুলে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে আটুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র মিলন মেলা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগর যুব অধিকার পরিষদের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত
নোটিশ :
Wellcome to our website...

১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবিতে দেবহাটায় স্মারকলিপি প্রদান

দেবহাটা প্রতিনিধি: ৪৭ Time View
Update : সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৮:৩৪ অপরাহ্ন

১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর উপকূলবাসীর জীবনে এক ভয়াবহ কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত। সেদিন প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে উপকূলজুড়ে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়। প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের প্রাণহানি ঘটে, ভেসে যায় অসংখ্য ঘরবাড়ি ও সম্পদ। নদী, সাগর এবং বিলের জলে মিশে গিয়েছিল অগণিত মৃতদেহ। বহু মৃত গবাদি পশুর লাশ সাগরে ভেসে থাকতে দেখা যায়। ঘূর্ণিঝড়ের পরেও সেই ক্ষয়ক্ষতি আজও স্মরণ করে শিউরে ওঠেন সেদিনের বেঁচে থাকা মানুষগুলো।

প্রলয়ের ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও এই দিনটির কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাওয়া যায়নি। তাই উপকূলবাসীর স্মৃতিকে অমর করে রাখতে ১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

এই দাবিতে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামানের নিকট একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন উপকূল ফাউন্ডেশন সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের সভাপতি মো. আবুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মো. আসিফ হোসেন, দেবহাটা ইউনিটের সভাপতি মো. ফিরোজ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. সোহাগ হোসেন, যুবনেতা ডালিম হোসেন, ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম, শামিম হোসেন, অশিম, তৌফিক, শাহিন, বুলবুলসহ আরও অনেকে।

উপকূলবাসীর পক্ষ থেকে বক্তারা উল্লেখ করেন, ঘূর্ণিঝড়ের সেই ভয়াবহতা উপকূলবাসী কখনো ভুলবে না। ঘরবাড়ি, স্বজন হারানোর কষ্ট এখনও হৃদয়ে দগদগে ক্ষত হিসেবে রয়ে গেছে। আমরা চাই, ১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণা করা হোক, যাতে এই দিনটির ভয়াবহতা ও এর থেকে শিক্ষাগ্রহণ ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকে।

উল্লেখ্য, স্মারকলিপি প্রদান শেষে উপস্থিত সকলে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবিতে একতাবদ্ধ হওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

 


More News Of This Category