সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শ্যামনগরে রামজীবনপুর যুব জামায়াতের সাধারণ কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত বাংলাদের জাতীয় সাংবাদিক ফোরাম পীরগঞ্জ থানা নবাগত অফিসার ইনচার্জন এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ কালিগঞ্জ প্রত্যয় আইডিয়াল স্কুলে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে আটুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র মিলন মেলা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগর যুব অধিকার পরিষদের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে ইউসিসিএ এর নির্বাচন সম্পন্নঃ শেখ লুৎফর রহমান সভাপতি নির্বাচিত। দেবহাটায় রস সংগ্রহে খেজুর গাছ প্রস্তুত করতে ব্যস্ত গাছিরা গাবুরায় বাল্যবিবাহ ও পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধে পিতামাতাদের সাথে সংলাপ শ্যামনগরে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে নব যোগদানকৃত নিবার্হী অফিসার রনী খাতুনের মতবিনিময় শ্যামনগরে সরকারী সেবায় স্থানীয় জনগোষ্টীর প্রবেশাধিকারের লক্ষ্যে সংলাপ ও মতবিনিমময়
নোটিশ :
Wellcome to our website...

মহারশি থেকে বেপরোয়াভাবে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে সামাজিকবন

সংবাদদাতার নাম : ১১৪ Time View
Update : শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০২৪, ৯:০২ পূর্বাহ্ন

শেরপুর প্রতিনিধিঃ

 

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদীর হলদীগ্রাম ও গোমড়া এলাকা থেকে বেপরোয়াভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ১একর জমির বালু মহাল ইজারা নিয়ে ২০ একর জমি থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বেপরোয়াভাবে বালু উত্তোলন করায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। হুমকির মুখে পড়েছে সন্ধাকুড়া, গোমড়া নদীরপাড় ঘেষে সৃজিত বন বিভাগের সামাজিক বন।

সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায়, ইজারাদারের লোকজন ২৫/৩০টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করে আসছেন। হলদিগ্রামের ভারত সীমান্তের প্রায় জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত আধকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বসানো হয়েছে ড্রেজার মেশিন। অভিযোগ রয়েছে, বালু উত্তোলনের নীতিমালা ভঙ্গকরে করে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। বেপোয়াভাবে বালু উত্তোলন করায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। বন বিভাগের গোমড়া, সন্ধাকুড়া সামাজিক বন হুমকির মুখে পড়েছে। এ অভিযোগ সামাজিক বনের অংশিদারদের। অংশিদাররা জানায় মহারশি নদীর হলদিগ্রাম মৌজায় ১ একর ৩ শতাংশ জমি থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি আছে। কিন্ত ইজারাদারের লোকজন সরকারি বিধি লংঘন করে লিজ এলাকায় বাইরে অন্তত ২০ একর এলাকা থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করে আসছেন। গোমড়া, সন্ধাকুড়া নদীর সামাজিক বনের পাশে নদীর পাড় ঘেষে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবাধে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। এতে নদীভাঙ্গনের পাশাপাশি সামাজিক বন হুমকির মুখে পড়েছে।

জানা গেছে সরকারি ভাবে বালু উত্তোলনের সীমানা নির্ধারণ করে না দেয়ায় ইজারাদারের লোকজন তাদের ইচ্ছেমত অতিরিক্ত এলাকায় অবাধে বালু উত্তোলন করে আসছেন। বালু মহাল ইজারার নীতিমালা অনুয়ায়ী নদীর তলদেশ থেকে জমাটবাধা উর্বর বালু উত্তোলনের কথা থাকলেও এখানে তা মানা হচ্ছে না। ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে নদীর তলদেশে গভীর গর্ত করে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। গোমড়া মৌজা বালু মহালের আওতায় না থাকলে ও এখান থেকে অবাধে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। এখান থেকে দীর্ঘ দিন ধরে বালু উত্তোলন করা হচ্ছ। পরিবেশ বিদদের মতে এসব দেখার যেন কেউ নেই।

এলাকাবাসী জানান ইজারাদারের লোকজন প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।

এব্যাপারে বালু মহালের ইজারাদার আসাদুজ্জামান স্বপনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরাই শেরপুর জেলা নিয়ন্ত্র করি বালু উত্তোলন করবোইতো। এর সাথে একমত পোষণ করেন মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম।

এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেলের সাথে কথা হলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।


More News Of This Category