সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সরকারি-বেসরকারি সেবায় প্রবেশাধিকার এবং সমস্যা সমাধানে স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সুসম্পর্ক স্থাপনে এবং জনগোষ্টীর অধিগম্যতা নিশ্চিৎকরনে সংলাপ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০ নভেম্বর ২০২৪ (বুধবার) সকাল ১০ টায় উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্টান বারসিক’র উদ্যোগে এবং উপজেলার বিভিন্ন পেশাজীবী জনসংগঠনের সহযোগিতায় উপজেলা সবুজ সংহতির সদস্য কৃষক হাবিবুর রহমানের সভাপত্তিত্বে ও বারসিক কর্মকর্তা বিশজিৎ মন্ডলের সঞ্চালনায় পরিচিতির মাধ্যমে শুভ সুচনা হয়। এসময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হুদা , সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ আরিফুজ্জামান, প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা সুব্রত বিশ্বাস এবং মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার প্রতিনিধি সাবরিন সুলতানা, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সামিউল আযম মনির, শিক্ষক সাংবাদিক রনজিৎ বর্মন, বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার সরকারী বেসরকারী সেবা বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। এসময় আরোও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিভিন্ন পেশাজীবী জনংগঠনের প্রতিনিধি ও বারসিক কর্মকর্তাবৃন্দ ।
সংলাপ ও মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহন কারী সেবাদানকারী প্রতিষ্টানের কর্মকর্তা বৃন্দ পর্যায়ক্রমে সহ সহ দপ্তরে কি ধরনের সেবা প্রদান করেন, সেগুলো জনগোষ্টী কিভাবে পেতে পারে, কি মাধ্যমে পেতে পারে সে সব বিষয বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং জনগোষ্টীর সমস্যা জানান চেষ্টা করেন।
সরকারী কর্মকর্তারা জানান যে,উপজেলা প্রানী সম্পদ উন্নত জাতের প্রানী সম্পদ বিতরন, টীকা প্রদান, উন্নত জাতের ঘাস এবং প্রানী সম্পদের পালনে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ সহায়তা এবং আমদানি রপ্তানির অনুমোদন সার্টিফিকেট প্রদান স্বল্প সুদে ঋন প্রদান এবং দুর্যোগ কালীন সহায়তা, সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনির মাধ্যমে সমাজসেবা অধিদপ্তর বিভিন্ন ভাতা প্রদান এবং সংগঠনের উন্নয়নমুলক কাজে আর্থিক ভাবে সহায়তা চলমান রেখেছে। কৃষি অফিস ভর্তুকি দিয়ে কৃষি খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কৃষককের উন্নয়ন এবং জৈব পদ্ধতিতে ফসল চাষবাদেও জন্য বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলেছে। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের ক্ষমতায়ন, শিশু ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে কর্মসূচি, নারী সংগঠন নিবন্ধন,গর্ভবতী মহিলাদেও পুষ্টি নিশ্চিৎকরনে ভাতা, হাতের কাজের প্রশিক্ষণ, আর্তকর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র ঋণ ইত্যাদি।
অংশগ্রহন কারী সাংবাদিকরা জানান, উপকূলীয় কৃষক – কৃষানীরা নানান ধরনের উদ্যোগ ও কৌশল গ্রহণ করে থাকে। তাদের সফল এই চর্চা গুলো আমরা কলমের মাধ্যমে তুলে ধরতে চাই। যা অন্যদের জন্য শিক্ষনীয় হতে পারে।
অংশগ্রহনকারী জনসংঠনের প্রতিনিরা জানান যে, আমরা সবাই একটা একটা সংগঠনের প্রতিনিধি। আমাদের জন্য সরকারী ভাবে অনেক সুযোগ সুবিধা থাকলেও আমরা সে সম্পর্কে অবগত নয়। আমাদের প্রত্যেক সেবাদান কারী প্রতিষ্টানের সেবা সম্পর্কে জানতে হবে। আজ আমরা সেবা সম্পর্কে অনেক ধারনা পেয়েছি যা আমরা সংগঠনের সদস্যদের অবগত করবো এবং সে অনুযায়ী কর্মসূচি গ্রহন করবো। এভাবে সরকারী সেবায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রবেশাধিকার নিশ্চিৎ করা।