দেবহাটার সখিপুরে আবাসিক এলাকায় নির্মাণকৃত কারখানার মেশিনের শব্দ আর ধূলাবালিতে অতিষ্ট এলাকাবাসী। দিনে রাতে বিকট শব্দ ঘুম হারাম হয়ে যাওয়া পাশাপাশি কারখানার ধুলা ময়লাতে ভরে যাচ্ছে বাসতবাড়ি। এবিষয়ে একাধিক বার অভিযোগ করেও মিলছে না কোন সমাধান।
সাম্প্রতিক বিষয়টি নিয়ে কয়েক দফায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগে স্থানীয়রা জানান, উপজেলার উত্তর সখিপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত নুরআলী বিশ্বাসের ছেলে মুনসুর আলী বিশ্বাস আবাসিক এলাকায় একটি কাঠের আসববপত্র তৈরী ও কাঠের ডিজাইনের কারখানা স্থাপন করেছেন। আরও জানা যায়, সে আবাসিক এলাকায় ১১ শতক জমি বসতঘর নির্মান করার জন্য খরিদ করেন। সেখানে বাড়ী নির্মান না করে সৌখিন ফার্নিচার ও ডিজিটাল নকশা ঘর নামে ফার্নিচার তৈরির কারখানা নির্মান করেছেন। ওই কারখানায় ধীরে ধীরে ফার্নিচার তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করেন। সম্প্রতি সময়ে একটি ভারী মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। যা সকাল হতে মধ্যরাত, কখনো সারারাত বিকট শব্দে চলতে থাকে। এছাড়া ফার্নিচারে ব্যবহৃত রং, বিভিন্ন কেমিক্যাল এবং কাঠের গুড়ার কারনে বায়ু দূষণ সহ মেশিনের বিকট শব্দে স্থানীয় বাড়ির লোকজনের স্বাস্থ্যের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটছে।
তীব্র চলমান শব্দের ফলে শিশুদের পড়ালেখা, ঘুম, শ্রবণ শক্তি, মানসিক ও শারিরীক স্বাস্থ্যের ব্যাপক ভাবে অবনতি ঘটছে। বর্তমানে আশেপাশের পরিবার গুলোর কয়েকজন শ্বাসকষ্ট, মাথা ব্যথা ও কানের অসুখে ভুগছেন।
বিষয়টি নিয়ে ইতোপূর্বে রাত্র ১২ টার দিকে সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে ঘটনাস্থালে আসার আহবান জানান স্থানীয়রা। তিনি ঘটনাস্থলে এসে গভীর রাতে মেশিন চালু অবস্থায় দেখে তা বন্ধ করার নির্দেশ দেন। চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে মেশিন বন্ধ রাখা হয়। চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল ত্যাগের কিছু পরেই আবারও মেশিন চালু করেন তারা। এমনকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দায়ের পর তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর জরুরী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে ইউনিয়ন ভ‚মি সহকারী কমকর্তা প্রশান্ত কুমার সরকার উভয় পক্ষকে একটি নোটিশ প্রদান করে গত ১৪ নভেম্বর সরেজমিনে তদন্ত করা হয়েছে। রবিবার ১৭ নভেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহীকে তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করবেন বলে জানা গেছে।