ভোরের সংবাদ ডেস্ক:
সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস.এম আতাউল হক দোলন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।
শনিবার (২২ জুন) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এই দাবি তোলেন তিনি।
আতাউল হক দোলন বলেন, জলবায়ু ও দুর্যোগের প্রকৃত পূর্বাভাস পেতে বঙ্গোপসাগরের অতি নিকটবর্তী উপকূলীয় অঞ্চল সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার স্থাপন অত্যন্ত জরুরি। এই অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়, লঘুচাপ এবং নিম্নচাপের প্রভাব খুব বেশি। সঠিক পূর্বাভাসের অভাবে উপকূলীয় জনপদ বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ, উপকূলীয় বেড়িবাঁধসমূহে বনায়নকরণ, সুপেয় পানি সংকট নিরসন, সাতক্ষীরা থেকে ভেটখালী সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ, সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ, দুর্যোগ প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) সদস্যদের সম্মানী ভাতা প্রদান, শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ এবং দুর্গত এলাকার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো দুর্যোগ সহনশীল কমিউনিটি ক্লিনিক হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
তিনি আরও দাবি করেন,খোলপেটুয়া নদীর উপর নওয়াবেঁকী-পাখিমারা ব্রিজ নির্মাণ, সড়ক ও জনপদের আওতাধীন পাখিমারা-চাঁদনীমুখা ভায়া চৌদ্দরশি রাস্তার বাকি অংশের কাজ দ্রুততার সাথে শুরু করা, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি নাভারন থেকে সুন্দরবন রেললাইন স্থাপন, সুন্দরবনকে কেন্দ্র করে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন ও সুন্দরবনের দৃশ্য পরিদর্শনের জন্য কেবলকার স্থাপন, বসন্তপুর নৌবন্দর চালু করা, নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বহুতল ভবন নির্মাণ, কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ ও নির্বাচনী এলাকায় নারী শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে শ্যামনগর আতরজান মহিলা কলেজ ও কালীগঞ্জ রোকেয়া মনসুর ডিগ্রী কলেজকে জাতীয়করণ করা প্রয়োজন।
ঘূর্ণিঝড় রিমাল পরবর্তী সময়ে উপকূলীয় এলাকায় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার স্থাপনের যৌক্তিকতা নিয়ে দ্য এডিটরসে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। তখন সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস.এম আতাউল হক দোলন জাতীয় সংসদে বিষয়টি তুলে ধরার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা উপকূলীয় অঞ্চল বঙ্গোপসাগরের অতি নিকটবর্তী হওয়ায় প্রায়ই প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়। যথাযথ পূর্বাভাসের অভাবে এই অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা ও সম্পদের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে। তাই আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন এখন সময়ের দাবি।