শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে একুল- ওকুল দু কুলই হাড়ালেন বিএনপির জনপ্রিয় নেতা সদ্য বিলুপ্ত হওয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা।
তিনি গত ৮ মে ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে পরাজিত করে তৃতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন । জনপ্রতিনিধিত্বের মধ্যে দিয়ে জনগণের সেবা করে তার জীবনের ২৫ বছর কাটিয়েছেন।
জানা গেছে, ১৯৮৮ সাল থেকে তিনি ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের পরপর দু দফায় ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়ে দ্বায়িত্ব পালন করেন ।
১৯৯৮ সালে ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সফলভাবে দ্বায়িত্ব পালন করেন তিনি ।
২০০৯ সাল থেকে পরপর দু দফায় ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দ্বায়িত্ব পালন করেছেন বাদশা।
জানা গেছে, উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা জননেতা আমিনুল ইসলাম বাদশা ২০১৪ সালে একটি মামলায় কারাগারে থেকেই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
তার জীবনে ৬ বার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শুধু ২০১৯ সালের উপজেলা নির্বাচনে ১ বার আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে তিনি পরাজিত হন।
তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে জেলার দ্বায়িত্বে থাকা শীর্ষ জনৈক নেতা উপজেলা বিএনপির উল্লেখযোগ্য কোন পদে না রেখে তাকে কোনঠাসা করে রাখা হয় বলে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের অভিযোগ।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৮ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মাঠে নামেন বাদশা । এসময় দলীয় সিদ্ধান্ত অপেক্ষা করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহনের অভিযোগে দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
ফলে নিজ দলের সিংহভাগ নেতা কর্মিরা এ নির্বাচনে বাদশার বিরোধিতা করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও সমর্থকরা এ নির্বাচনে প্রকাশ্যে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় বলেও জনশ্রুতি রয়েছে।
উল্লেখ্য, যে ঘরে -বাইরে উভয় দলের শত বিরোধিতার পরেও আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে পরাজিত করে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বাদশা।
কিন্তু বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ বাতিল করেন। এতে দলীয় পদ ও উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ দুটোই হাড়ালেন আমিনুল ইসলাম বাদশা।