মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ইসলামবাগ এলাকার ফজলুর রহমান ভিলা থেকে এক দেহব্যবসায়ী ও তার সহযোগী এক কনস্টেবল সহ মোট তিন জনকে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা অবস্থায় এলাকাবাসী আটক করে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয়।
ডিউটিতে এসআই শিপু কুমার দাশ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবগত করে স্বংগীয় ফোর্সসহ এস আই শিপু কুমার দাশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত ১:৩০ মিনিটে ১।জেরিন বেগম (৩২) পিতাঃ মুহিবুর রহমান, সাং নন্দনগর, থানা কুলাউড়া, বর্তমান, ফজলু ভিলা ইসলামবাগ, সদর মৌলভীবাজার ও সহযোগী রঞ্জিত ঘোষ (৩০) পিতা, মৃত নরেন্দ্র ঘোষ, সাং শান্তিপাড়া, মাধবপুর পৌরসভা, জেলা হবিগঞ্জ এবং অপর একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
উক্ত ঘটনায় আটক সহযোগী রঞ্জিত ঘোষ (৩০) পিতা, মৃত নরেন্দ্র ঘোষ, সাং শান্তিপাড়া, মাধবপুর পৌরসভা, জেলা হবিগঞ্জ সে হবিগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কনস্টেবল বলে পরিচয় দেয়।
কিন্তু হবিগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ পরিদর্শক মোঃ রবি উল্লা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে তিনি মুঠোফোনে জানান রঞ্জিত ঘোষ নামে কোন সিপাহি হবিগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নেই। তিনি বলেন হয়তো সে মিথ্যা পরিচয় দিয়েছে।
বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে রঞ্জিত ঘোষ মূল একজন মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ী জেরিন বেগমের সহযোগী ব্যবসায়ী তারা একসাথে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে।
জিডি নং ৭৪৩ /২৪ সূত্রে জানা যায়, সদর এলাকায় কিলো ডিউটি অবস্থায় খবর পেয়ে এস আই শিপু কুমার দাশ খবর পেয়ে অফিসার্স ইনচার্জ মডেল থানাকে অবগত করে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা অবস্থায় উপরে উল্লেখিত আসামীদের আটক করে থাকায় অর্তব্য অপরাধের সন্দেহে ফৌঃকাঃবিঃ আইনের ৫৪ ধারায় হেফাজতে নিয়ে তদন্তে সত্য প্রতীয়মান হলে দন্ড বিধি আইনের ২৯০ ধারায় প্রসিকিউশন নং ৮৪/২০২৪ তারিখ ২৪/৮/২৪ইং দাখিল করে আসামীদের আদালতে প্রেরণ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত হুমায়ুন কবির।
একটি বিশ্বস্থ সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, জেরিন বেগম (৩২) দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসা করে আসছে। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেনি।
অপর এক ভোক্তভোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায় এরপূর্বে জেরিন বেগম সদর উপজেলার ৩নং ওয়ার্ডের চুবড়া এলাকায় একটি বাসায় থেকে এসব কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।
জেরিন বেগমের সাথে দুটি চক্র রয়েছে যারা মাদক সংগ্রহ করে দেয় যা সে সেবন করে এবং তা শহরের বিভিন্ন জায়গায় মাদক সুকৌশলে বিক্রি করে।
এছাড়া আরেকটি চক্র খদ্দের নিয়ে আসে বাসার ভিতরে। বাসার ভিতরে প্রবেশ করতেই খদ্দেরর মোবাইল প্রথম জিম্মি করা হয়। বলে জানায় বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী। পরে মোটা অংকের টাকা আনার জন্য বলে এবং না আনলে বের হতে দিবে না ও জেরিন নিজের জামা কাপড় খুলে ব্লাক মেইলিং শুরু করে।
ভুক্তভোগীদের নিজের কাছে থাকা মোবাইল টাকা পয়সা সব হাতিয়ে নেয়া ও ভুক্তভোগীকে উলঙ্গ করে ভিডিও ধারণা করে রাখে এবং কোন মামলা মোকদ্দমায় গেলে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়া হবে।
পর্ব-১
অনুসন্ধান চলমান আরো বিস্তারিত ২য় পর্বে