শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে আটুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র মিলন মেলা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগর যুব অধিকার পরিষদের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে ইউসিসিএ এর নির্বাচন সম্পন্নঃ শেখ লুৎফর রহমান সভাপতি নির্বাচিত। দেবহাটায় রস সংগ্রহে খেজুর গাছ প্রস্তুত করতে ব্যস্ত গাছিরা গাবুরায় বাল্যবিবাহ ও পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধে পিতামাতাদের সাথে সংলাপ শ্যামনগরে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে নব যোগদানকৃত নিবার্হী অফিসার রনী খাতুনের মতবিনিময় শ্যামনগরে সরকারী সেবায় স্থানীয় জনগোষ্টীর প্রবেশাধিকারের লক্ষ্যে সংলাপ ও মতবিনিমময় বুড়িগোয়ালিনীতে পরিবেশবান্ধব ব্যবসা বিষয়ক পরামর্শ সভা দেবহাটায় সিভিএ ওয়ার্কিং গ্রুপের ইন্টারফেইস মিটিং সাতক্ষীরা টু কালিগঞ্জ মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে দেবহাটায় জামাতের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
নোটিশ :
Wellcome to our website...

পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলে নাজেহাল গ্রাহক

ভোরের সংবাদ ডেস্ক: ২৯ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৪, ১০:৩৭ অপরাহ্ন

মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের অধীন প্রায় ৮০ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক আগস্ট মাসে ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের সম্মুখীন হয়েছেন। সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার গ্রাহকরা অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। নিয়মিত আসা বিলের দেড়গুণ থেকে দ্বিগুণ বিদ্যুৎ বিল দেখে অনেকেই বিদ্যুৎ অফিসের দ্বারস্থ হচ্ছেন এবং বিষয়টির সুরাহা চাচ্ছেন। গ্রাহকরা ভূতুড়ে বিলের সুষ্ঠু তদন্ত এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের অধীনে থাকা গ্রাহকদের মধ্যে ২২টি চা বাগানের বিদ্যুৎ সংযোগও রয়েছে। আগস্ট মাসে গ্রাহকদের অধিকাংশের বিদ্যুৎ বিলে দেড় থেকে দ্বিগুণ টাকা এসেছে। সাধারণ গ্রাহকদের কেউ কেউ বলছেন, আগে যেখানে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বিল আসতো, সেখানে এবার এসেছে ১,২০০ থেকে ১,৪০০ টাকা পর্যন্ত। বন্যার কারণে উপজেলার সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ ও আর্থিক অস্বচ্ছলতা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। ভূতুড়ে বিল তাদের জীবনে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয় বিদ্যুৎ গ্রাহক সফিকুল ইসলাম বুলবুল জানান, তার প্রতিবেশীর মিটারে ১,৩২০ ইউনিট দেখালেও বিদ্যুৎ বিলে ১,৪০০ ইউনিট লেখা হয়েছে। শমশেরনগর বাজারের ব্যবসায়ী অমৃত রবিদাস বলেন, দোকানে প্রতি মাসে ৮০০ থেকে ১,০০০ টাকা বিল আসে, কিন্তু আগস্ট মাসে বিল এসেছে ২,০০০ টাকা। বাড়িতেও একইভাবে বেশি বিল এসেছে।

চা বাগান এলাকার নির্মল কানু জানান, গত মাসে যেখানে তার বিদ্যুৎ বিল ছিল ২০০ টাকা, এ মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৪০০ টাকায়। গ্রাহক বিশাল গুপ্তা বলেন, বিদ্যুৎ বিল কমানোর জন্য বাসায় দুটি মিটার লাগিয়েছি, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে আগের চেয়ে আরও বেশি বিল আসে।

নান্টু বর্ধন, রহমান লিটন, শহীদ সাগ্নিকসহ অন্যান্য বিদ্যুৎ গ্রাহকরা বলছেন, বন্যার এ ক্রান্তিকালে আমাদের অনেকেরই ভূতুড়ে বিল দিতে হচ্ছে, যা অস্বাভাবিক। কোনো কোনো সময়ে মিটার রিডিংও ঠিক দেখা যায় না। এসব বিষয়ে প্রতিকার করা প্রয়োজন।

তবে অভিযোগের বিষয়ে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মীর গোলাম ফারুক বলেন, আসলে গত মাসে প্রচুর গরম ছিল, ফলে ফ্যান বেশি চলেছে, এজন্য কারো কারো বিল বেশি আসতে পারে। তাছাড়া কোনো গ্রাহকের যদি ভুলক্রমে বিল বেশি হয়ে থাকে, তাহলে মিটার রিডিংয়ের ভিডিও নিয়ে অফিসে আসলে সেটি দেখে সংশোধন করে দেওয়া হবে।

এই পরিস্থিতিতে ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের সমস্যা সমাধানের জন্য জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে ভূক্তভোগী গ্রাহকরা।


More News Of This Category