সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় সরকারি সড়কের পাশে লাগানো লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ কেটে বিক্রি করার হিড়িক পড়েছে। স্থানীয় এলজিইডির উদ্যোগে লাগানো এসব গাছ কেটে ব্যবসায়ীরা বাজারজাত করলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে কালিগঞ্জ কলেজ মোড় থেকে বালিয়াডাঙ্গা কৃষ্ণনগর মহাসড়কের বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের শ্রীধর কাটি জামে মসজিদ এবং ইসমাইলের দোকানের সামনের রাস্তার পাশে লাগানো ১০-১২টি লম্বু ও মেহগনি গাছ কেটে মুকুন্দ মধুসূদনপুর গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী পলাশ গাছগুলো নিয়ে যান।
স্থানীয়রা জানান, এই গাছগুলো সরকারি রাস্তার পাশের হলেও সেগুলো কেটে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে। কাঠ ব্যবসায়ী পলাশ সাংবাদিকদের জানান, স্থানীয় আব্দুল্লাহ মাস্টার ও রহিমগংরা নিজেদের গাছ বলে তার কাছে বিক্রি করেছে। তবে আব্দুল্লাহর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি, ফলে সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে সঠিক নজরদারি করতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফয়সাল বারী পূর্ণ জানান, তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানোর কথা বলেছেন, তবে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত কুমার বিশ্বাস বিষয়টি সম্পর্কে অবগত না থাকলেও তহশিলদার নুরুল ইসলামকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে নুরুল ইসলামের সাথে দিনভর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি, যা পরিস্থিতি আরও রহস্যজনক করে তুলেছে।
এদিকে, প্রশাসনের দুর্বল মনিটরিং এবং তহশিলদারের অক্রিয়তার কারণে কালিগঞ্জ উপজেলাজুড়ে সরকারি গাছ কেটে বিক্রির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। ফলে স্থানীয় জনগণের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ বাড়ছে।
সরকারি সম্পদের এভাবে লুটপাট বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে পরিবেশ ও আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।