গোপালগঞ্জে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহরে ‘আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের’ হামলায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অন্তত ৩৫ জন। ভাঙচুর করা হয়েছে অন্তত ১০টি গাড়ি।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতীর একটি সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া মোড়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রফিক উজ্জামান জানান, ঢাকা থেকে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের গাড়িবহর নিয়ে টুঙ্গিপাড়ার জনসভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী। গাড়িবহরটি ঘোনাপাড়া এলাকায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের একদল সশস্ত্র লোক গাড়ির গতিরোধ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এ সময় এসএম জিলানীর গাড়িসহ অন্তত ৮ থেকে ১০টি গাড়িতে ভাঙচুর চালায় হামলাকারীরা।
এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা সড়কের পাশে থাকা গাছের ডাল ভেঙে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিলে পিছু হটে যায় তারা। কিছুক্ষণ পর আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা মাইকিং করে সংগঠিত হয়ে আবারও হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে এসএম জিলানীসহ অন্তত ৩৫ জনকে রক্তাক্ত জখম করে। আহতদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সন্ধ্যায় গুরুতর আহত অবস্থায় এসএম জিলানীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। চরম ভোগান্তিতে পড়ে ওই সড়কে চলাচলকারীরা।
ওই সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে সন্ধ্যার দিকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এলাকা এখন শান্ত রয়েছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।