কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মৌলভীবাজারের বিরুদ্ধে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় গত ১৫/০৯/২৪ইং তারিখে প্রকাশিত “মৌলভীবাজার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে দূর্নীতির মহোৎসব ” শিরোনামে সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদক হোসাইন আহমদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিবাদলিপি সূত্রে জানা যায়, যুগান্তর পত্রিকার মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি হোসাইন আহমদ কতৃক প্রেরিত প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
প্রতিবেদনে প্রশিক্ষণার্থীর ভাতার টাকা আত্মসাৎ, রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সনদ বিক্রি, কাচাঁমালের টাকা আত্মসাৎ, তেল বিক্রি, ব্যক্তিগত কাজে সরকারি গাড়ি ব্যবহার, বাসা ভাড়া পরিশোধ না করা, ড্রাইভিং লাইসেন্সের নামে টাকা আদায় করা এবং ব্যাক্তিগত সম্পত্তি অর্জন এর কথা বলা হয়েছে।
আমরা প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী এ ভিত্তিহীন প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, দৈনিক যুগান্তরের মৌলভীবাজার প্রতিনিধি হোসাইন আহমদ মৌলভীবাজার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সাংবাদিকতার প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ নানারকম ব্লাকমেইল করার প্রচেষ্ঠা চালিয়ে আসছে, যার প্রমাণ প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের নিকট রয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয় ।
উক্ত প্রতিবেদক সাংবাদিক হোসাইন আহমদ মৌলভীবাজার জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস, মৌলভীবাজার সংলগ্ন একটি কম্পিউটার কম্পোজের দোকান (আল-আমিন কম্পিউটার, শমশেরনগর নগর রোড, মৌলভীবাজার) পিডিও কোর্সের অনলাইন ভর্তি বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সার্টিফিকেট বাণিজ্য করার অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য মৌলভীবাজার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে PDO নামক প্রবাস গমনেচ্ছু কর্মীদের জন্য একটি কোর্স ২০১৭ সাল থেকে চালু রয়েছে।
সম্প্রতি সরকার মৌলভীবাজার জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস, মৌলভীবাজার এ উক্ত কোর্সটি চালুর অনুমতি প্রদান করেছে।
উক্ত দোকান থেকে বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়া-এর মাধ্যমে ভর্তির জন্য মৌলভীবাজার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যেতে হবে না মর্মে নিরুৎসাহিত করে শুধুমাত্র মৌলভীবাজার জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি
অফিসে ভর্তির তাগিদ দেয়া হচ্ছে ।
এতে করে মৌলভীবাজার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এটি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ও মামলাযোগ্য অপরাধ।
উক্ত প্রতিবেদনে যেসব প্রশিক্ষণার্থীর বরাদ দিয়ে কথা বলা হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই প্রতিষ্ঠানে সমবেত হয়ে উক্ত প্রতিবেদকের সাথে তাদের কোনরূপ বাক্যালাপ ও যোগাযোগ হয়নি বলে জানিয়েছে।
তারা এ প্রতিবেদনের প্রতিবাদ করে অভিযোগ পত্র অত্র দপ্তরে জমা দিয়েছে ।
মৌলভীবাজার জেলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সকল প্রশিক্ষক ও কর্মকর্তারা সাংবাদিক হোসাইন আহমদের দায়িত্বহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণেদিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ এবং প্রতিবেদকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করেছন।
উল্লেখ্য, মৌলভীবাজার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরকার পতনের পর থেকে ভর্তি, অতিরিক্ত কোর্স ফি আদায়, সরকারি গাড়ি নিজস্ব কাজে ব্যবহারের অভিযোগ উঠে কিন্তু মৌলভীবাজার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ বলেন, এ ধরনের কোন অভিযোগ কোন ছাত্রদের কাছ থেকে আসেনি।