সাতক্ষীরার দেবহাটায় ৬৭ বছরের এক বৃদ্ধা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রক্তাক্ত ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই নারীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ধর্ষণের পর পালিয়ে গেছেন অভিযুক্ত আসাদুল ইসলাম।
পারুলিয়া গুচ্ছগ্রামের রুহুল আমিন জানান, ওই নারীর দুই মেয়ের বেশ আগেই বিয়ে হয়েছে। তার একমাত্র ছেলে মা’কে ফেলে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে অন্যত্র বসবাস করে। জীবিকার তাগিদে তিনি (নারী) ঘটক হিসেবে কাজ করেন। পাশের গ্রামের আসাদুল ইসলাম নামের একব্যক্তির ছেলেকে বিয়ে দেওয়ার জন্য শনিবার তিনি পাত্রী দেখতে কালিগঞ্জ যান। সেখান থেকে বাড়ি ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। রাতে পাত্রী সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে আসেন আসাদুল। এসময় ওই নারী ঘরের দরজা খুলতেই আসাদুল তার মুখ চেপে ধরে মাটিতে ফেলে ধর্ষণ করে। তখন তার চিৎকারে তিনি স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে ছুটে আসেন। একপর্যায়ে ধর্ষক আসাদুল কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে ওই নারীকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোমা রানী দাস জানান, রক্ত বন্ধ করার জন্য ওই নারীর জরুরি অপারেশনের প্রয়োজন। তাই তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
দেবহাটা থানার পুলিশ পরিদর্শক ইদ্রিসুর রহমান বলেন, আসাদুল ইসলামকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ছেলে বাদি হয়ে মামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।