ময়মনসিংহ বন বিভাগের শেরপুরের রাংটিয়া ফরেস্ট রেঞ্জ এলাকার গারো পাহাড়ে শুরু হয়েছে দুর্বৃত্তদের থাবা। নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমসিম খাচ্ছে বনবিভাগ।
জানা গেছে, দুর্বৃত্তরা গারো পাহাড়ে , কখনো বনের গাছ, কখনো পাথর ও বালু লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে। জানা গেছে, গত ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে।
ওইদিন রাতে স্থানীয় প্রায় অর্ধশত দৃর্বৃত্ত রাংটিয়া ফরেষ্ট রেঞ্জের তাওয়াকোচা এলাকায় সামাজিক বনের প্রায় এক একর জমির উডলড বাগানের গাছ কেটে ফেলে।
খবর পেয়ে বন কর্মকর্তা কর্মচারীরা ঘটনাস্থলে আসলে দুর্বৃত্ত ও বন কর্মচারীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা পিছু হটতে বাধ্য হয়।
পরে গাছগুলো জব্দ করা হয়।
এরপর থেকে গারো পাহাড়ে দুর্বৃত্ত ও বন কর্মচারীদের মধ্যে প্রায়ই ঘটছে এ ধরনের ঘটনা। কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না বন বিভাগ।
শুধু তাই নয় দুর্বৃত্তরা ৫ তারিখের পর থেকে কাংশা ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালঘোষা নদীর বাঁকাকুড়া, গান্দিগাঁও, মালিটিলা, দরবেশতলা, হালচাটি এলাকা থেকে অবাধে বালু লুটপাট শুরু করে। শুরু করে পাহাড় কেটে পাথর লুটপাট।
স্থানীয়রা জানান, দিনের বেলায় এসব পাথর বালু উত্তোলনের পর রাতে মাহিন্দ্র ও ট্রলিযোগে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে।
উপজেলা সদরসহ এলাকার বিভিন্নস্থানে রাস্তার পাশে উত্তোলনকৃত বালু স্তুপ করে রাখা হয়েছে। এখান থেকে অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে লাখ লাখ টাকার বালু।
এসব বালু লুটপাটে বাঁধা দিতে গিয়ে মাঝে মধ্যে বন কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটছে।
অনেক সময় বালু ভর্তি ট্রলিও মাহিন্দ্র আটকের পর বন কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাছ থেকে তা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনাও ঘটছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
বনবিভাগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, অর্ধশতাধিক দুর্বৃত্ত প্রতিরাতেই গারো পাহাড়ের বাঁকাকুড়া, গজনী, নওকুচি, বনরানী রিসোর্টের সামনে বসে আড্ডা দেয়। তারা সুযোগ বুঝে বালু পাথর পাচার ও বৃক্ষ নিধনে লিপ্ত হন।
তাদের গতিবিধি লক্ষ করতে ও পাহাড় রক্ষার সার্থে বন কর্মকর্তা কর্মচারীরাও রাত জেগে পাহাড়া দিচ্ছেন। ফলে তাদের চোখে এখন ঘুম নেই। অভিযোগ প্রকাশ, শেরপুরের গারো পাহাড়ে এ অবস্থা চলছে গত দেড় মাস ধরে।
বর্তমানেও এ অবস্থা অব্যাহত রয়েছে। ফলে পাহাড় রক্ষায় হিমসিম খাচ্ছে বনবিভাগ। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাংটিয়া ফরেষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল করিম বলেন
এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চাইবেন বলে জানান তিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল বলেন বিষয়টি তার জানা আছে। শিগগিরই ব্যবস্তা নেয়া হবে।