আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ -২০২৪ উপলক্ষ্যে উপকূলীয় নারীদের অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
“নারী – কন্যার সুরক্ষা করি, সহিংসতা মুক্ত বিশ্ব গড়ি”এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পানখালী গ্রামে, পানখালী যুব কৃষক কৃষানী সংগঠনের উদ্যোগে ও বারসিকের সহযোগিতায় (৯ই ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ উপলক্ষ্যে উপকূলীয় নারীদের নিয়ে একটি অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অবস্থান কর্মসূচি তে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পানখালী গ্রামের শতবাড়ি মডেলের সদস্য কনিকা মন্ডল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুব স্বেচ্ছাসেবী সমন্বয় কমিটির সদস্য, সবুজ সহতির সদস্য,সাংবাদিক, সংগঠনের অন্যান্য নারী, স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের সহযোগি কর্মসূচি কর্মকর্তা প্রতিমা চক্রবর্তী,বরষা গাইন,মনিকা পাইক, কমিউনিটি ফ্যাসিলিটেটর লিপিকা গাইন , দিলরুবা ইয়াসমিন প্রমূখ।
নারীর হাতে যেমন কৃষির সূচনা, তেমন সংসারের উন্নতিও নারীর উপর নির্ভর করে। নারী সে কারো মা, কারো বোন, কারো মেয়ে আবার কারো স্ত্রী। তবে যুগে যুগে কেন নারীরা অবহেলিত, কেন নারীরাই নির্যাতিত! আবার কেন নারী অধিকারের জন্য আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে! কেনই বা নারী নির্যাতন প্রতিরোধের জন্য সারা বিশ্বে তোলপাড় চলছে! নারীকে ব্যতিত সৃষ্টির নির্মাণ কাজ যেখানে থমকে দাঁড়ায় সেখানে নারী সুরক্ষার জন্য এত আইন কেন! নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হলে এবং নারী পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গড়ে উঠতে পারে একটি সুষ্ঠ- সুন্দর সমাজ।
অবস্থান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কনিকা মন্ডল নারী ও কন্যা শিশুর সহিংসতা বিরুদ্ধে গনসচেতনতা সৃষ্টি ও সামাজিক ইতিবাচক পরিবর্তন সাধনের কথা বলেন। তিনি আরো বলেন,৪০ শতাংশ নারী নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে এ সহিংসতা দূর করতে হবে নজরদারি বাড়াতে হবে গবেষণার আওতায় নিয়ে আসতে হবে একতাবদ্ধ হয়ে সহিংসতা মুক্ত দেশ ও নির্যাতন মুক্ত সমাজ গঠন করতে হবে।
পানখালী যুব কৃষক কৃষানী সংগঠনের সদস্য রত্না রানী বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পরিবার থেকে শুরু করতে হবে , নারী নির্যাতন বন্ধে পুরুষদের বেশি এগিয়ে আসতে হবে। সবাই মিলে নারী নির্যাতন রোধে উদ্যোগ নিতে হবে।
সংগঠনের অন্যান্যরা বলেন, নারীদের পেছনে রেখে দেশ কখনো এগিয়ে যেতে পারে না। নারী নির্যাতন দেখলে তা প্রতিরোধ করতে হবে।ছেলে মেয়েদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই, নারীদের নিজ পায়ে দাড়ানো খুব প্রয়োজন , নারী নির্যাতন প্রতিরোধ বিষয়ে সচেতনতা মূলক কর্মসূচি বাড়াতে হবে। আমাদের মেয়েদের মেধা ও মনে গড়ে তুলতে হবে।যার যার জায়গা থেকে কাজ করলে এর সুফল অবশ্যই পাওয়া যাবে।