পিছিয়ে পড়েও দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো বার্সেলোনা। প্রতিপক্ষের মাঠে শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে কাতালুনিয়ারা। তবে হাল ছাড়েনি হান্সি ফ্লিকের দল। দ্বিতীয়ার্ধের জোড়া গোলে পূর্ণ তিন পয়েন্ট পেয়েছে বার্সা। দলটির জার্সিতে অভিষেকে আলো ছড়িয়েছেন দানি ওলমো।
রায়ো ভায়োকানোর মাঠে মঙ্গলবার রাতে লা লিগার খেলাটি ২-১ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। উনাই লোপেসের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে সমতা টানেন পেদ্রি। শেষ দিকে জয়সূচক গোলটি করেন বদলি খেলোয়াড় ওলমো। সবশেষ ইউরোতে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন তিনি।
এ বছরই জার্মান বুন্দেসলিগার ক্লাব লাইপজিগ ছেড়ে বার্সেলোনায় যোগ দেন ওলমো।তবে লা লিগায় নিবন্ধন না হওয়ায় দলের প্রথম দুই ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে হলো তার অভিষেক। আর অভিষেক ম্যাচেই দলের জয়ের নায়ক বনে গেলেন ২৬ বছর বয়সি স্প্যানিয়ার্ড। এদিন এক গোল নয়, গোল আরও পেতে পারতেন ওলমো। ক্রসবার না লাগলে অন্তত জোড়া গোল থাকতো তার নামের পাশে।
এদিন শুরু থেকেই বার্সেলোনার রক্ষণে ভীতি ছড়ায় ভায়োকানো। এরই ধারাবাহিকতায় নবম মিনিটে এগিয়ে যায় তারা। ডান দিক থেকে সতীর্থের পাস বক্সে প্রথম স্পর্শে ডান পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন লোপেস। ১৯ মিনিটে প্রথম লক্ষ্যে শট নেয় বার্সা। ইনিগো মার্তিনেসের ওই শট অনায়াসে ঠেকান ভায়োকানো গোলরক্ষক দানিয়েল। ৩৭ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে লামিনে ইয়ামালের শট ঠেকাতেও খুব একটা বেগ পেতে হয়নি তাকে। প্রথমার্ধে ওই দুটি শটই কেবল লক্ষ্যে রাখতে পারে স্পেনের জায়ান্ট দলটি।
দ্বিতীয়ার্ধে ফেররান তোরেসের জায়গায় ওলমোকে মাঠে নামান ফ্লিক। এতে দলের আক্রমণেও ধার বাড়ে। ৫১ মিনিটে দারুণ সুযোগ পান রবার্ট লেভানডফস্কি, কিন্তু বাম দিক থেকে রাফিনিয়ার পাসে ছুটে গিয়ে ঠিকমতো পা ছোঁয়াতে পারেননি পোলিশ স্ট্রাইকার। দুই মিনিট পর রাফিনিয়ার ফ্রি-কিক পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। পরের মিনিটে বক্সের সামনে থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে আরেকটি সুযোগ নষ্ট করেন প্রথম দুই ম্যাচে তিন গোল করা লেভা।
৫৮ মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন ওলমো। ৩০ গজ দূর থেকে তার বুলেট গতির শট ক্রসবারে লাগে। এর দুই মিনিট পরই সমতার স্বস্তি ফেরে বার্সেলোনা শিবিরে। বক্সে রাফিনিয়ার পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ের শটে গোলটি করেন পেদ্রি। ৭১ মিনিটে ভায়োকানোর জালে বল পাঠান লেভানডফস্কি, কিন্তু আক্রমণের শুরুতে জুলে কুন্দে স্বাগতিক এক খেলোয়াড়কে ফাউল করায় ভিএআরের সাহায্যে মনিটরে রিপ্লে দেখে গোল দেননি রেফারি।
৮২ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করে বার্সেলোনা। ডান দিকের বাইলাইনের কাছ থেকে ইয়ামালের কাটব্যাক বক্সে পান ওলমো। তার দুই পাশে ছিলেন প্রতিপক্ষের কয়েকজন খেলোয়াড়। এর মাঝ দিয়েই বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন সাবেক লাইপজিগ তারকা। বাকি সময়ে সুযোগ পায় দুই দলই, তবে জালের দেখা আর মেলেনি।
তিন ম্যাচে শতভাগ সাফল্যে বার্সেলোনার হলো ৯ পয়েন্ট। ৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে নেমে গেছে ভিয়ারিয়াল। ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পেয়ে পাঁচ নম্বরে আছে শিরোপাধারী রিয়াল মাদ্রিদ