দেশের মাঠেই বিশ্বকাপের ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ থেকে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলে গেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে। তাইতো দল নিয়ে টাইগ্রেসরা বৃহস্পতিবার উড়াল দিচ্ছে দুবাইয়ে। তার আগে এখন মিরপুরের শেরেবাংলায় চলছে তাদের প্রস্তুতি পর্ব।
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনেও মুখোমুখি হলেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। অফিসিয়াল ফটোসেশনেও দেখা গেল গোটা নারী ক্রিকেট দলকে। সেখানেই জানালেন এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের লক্ষ্যের কথা।
বিশ্বকাপে খেলতে বৃহস্পতিবার সকালে নিগারের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল যাবে। তার আগে মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের মিডিয়া ডাইনিং ও মিডিয়া প্লাজায় অনুষ্ঠিত উন্মুক্ত মিডিয়া সেশনে থাকলেন দলের ক্রিকেটাররা।
সংবাদ সম্মেলন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জানালেন তার চোখ সেমি-ফাইনালে। বলেন, ‘আমি নিজেও চারটি বিশ্বকাপ খেলেছি, এখন পর্যন্ত একটা ম্যাচ জিততে পারিনি। অবশ্যই এবার বিশ্বকাপে আমার ব্যক্তিগতভাবে যেমন লক্ষ্য, তেমনি গোটা দলেরই লক্ষ্য যেন আমরা একটা ম্যাচ জিতে শুরু করতে পারি।’
তবে বাস্তবতাও জানেন। সেমিতে ওঠা সহজ নয়। অধিনায়ক বলছিলেন, ‘প্রতিটি ম্যাচের আগে যদি ওই দলের প্রতি বেশি মনোযোগ দিই এবং আমরা যদি ম্যাচ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারি, আমাদের জন্য ভালো হবে। আমরা দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে এসেছি টি-টোয়েন্টিতে। তাদের বিপক্ষে আমাদের ভালো স্মৃতি আছে। ইংল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের বরাবরই শুধু বিশ্বকাপে দেখা হয় এবং খুব কম খেলা হয়। বলা যায় নতুন প্রতিপক্ষ, ওদের জন্যও কিন্তু কঠিন হতে পারে। শারজায় খেলা, আমাদের স্পিন ভালো। যেকোনো কিছুই হতে পারে।’
নারী ক্রিকেট দলের কোচ হাশান তিলকারত্নে বলেন, ‘আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী। এই দলে সব উপকরণই আছে। অনেক দূর যাওয়ার সামর্থ্য আছে ওদের।’
এদিকে গত বছরের জুলাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে অনুষ্ঠিত আইসিসির বার্ষিক সভায় সিদ্ধান্ত হয়, পুরুষ ও নারী ক্রিকেটের প্রাইজমানি ও উইনিং মানি এখন থেকে সমান হবে। যা কীনা খুশির খবর জ্যোতিদের জন্য।
৩ অক্টোবর শারজায় বাংলাদেশ-স্কটল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে শুরু বিশ্বকাপ। ২০ অক্টোবর দুবাইয়ে ফাইনাল।